কপি নাকি ইন্সপায়ার্ড?
আমরা যারা ডিজাইন নিয়ে কাজ করি তাদের মধ্যেই প্রায়ই একটি জিনিস নিয়ে দন্দ লেগে যায়। শুধু ডিজাইনই নয়, আর্টিকেল কিংবা মোশন অথবা প্রেজেন্টেশন। সব ক্ষেত্রেই এই দন্দ দেখা যায়। তবে মাইক্রোস্টক মার্কেটগুলোর সুবাদে ডিজাইনের ক্ষেত্রেই এই দন্দটা প্রকোটভাবে দেখা যায়। মুলত ডিজাইন একটি ক্রিয়েটিভ কাজ। যার উৎস হলো নলেজ এবং রিসার্চ ভিত্তিক কল্পনা। অর্থাৎ উক্ত বিষয়ের উপড় থাকা জ্ঞানের ভিত্তিতে নতুন কিছু তৈরি করা।Kindpng |
কপি কি?
কোন ডিজাইন যখন আমরা অন্য কোন একটি ডিজাইন দেখে হুবহুব অথবা আংসিক করি, সেটাই কপি।
আমরা অনেকেই অন্য কোন ডিজাইন থেকে আইডিয়া নিয়ে, সামান্য কিছু পরিবর্তন করে নতুন ডিজাইন তৈরি করি। এটা অনেকটা চোরা গাড়ীর রঙ এবং নাম্বার প্লেট পাল্টানোর মত।
রংটা অন্যরকম হলেও, জিনিসটা কিন্তু একই!
ইন্সপায়ার্ড কি?
যখন আমরা কোন একটি ডিজাইন দেখে সেই ডিজাইনের ভাবার্থ অর্থাৎ মুল বিষয় বস্তুর সাথে মিল রেখে অন্য একটি ডিজাইন করি সেটা হলো ইন্সপায়ার্ড। যেমন ধরুন, কেউ একজন করোনা নিয়ে একটা ডিজাইন করলো, যেখানে "সাবান দিয়ে হাত ধুতে বলা হচ্ছে"। আপনি সেখান থেকে অনুপ্রানিত হয়ে আরেকটা ডিজাইন করলেন, যেখানে আপনি বললেন, "মাস্ক ব্যবহার করুন"। দুটো ডিজাইনেরই মুল বিষয়বস্ত হলো জনসচেতনতা। দুটো ডিজাইনেরই মুল কন্সেপ্ট এক, তবে ডিজাইন এক না।লক্ষ লক্ষ ডিজাইন আছে, মিলে যেতেই পারে!
স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রশ্ন যে কারো মনেই আসতে পারে। কথাটাও সত্য। তবে সেক্ষেত্রে কি করনিয়? আমরা এমন পরিস্থিতিতে পরলে, কপি করেছেন, চুরি করা ডিজাইন ইত্যাদি না বলে, উক্ত ব্যাক্তির সাথে কথা বলে দেখতে পারি। কারন আমার করা ডিজাইটাও কারো হয়ত মিলে যেতে পারে। হয়ত আমি কপি করিনি, কিন্তু কেউ যদি আমাকে এসে তখন বলে আমি কপিবাজ, আমার নিশ্চই ভালো লাগবেনা।
তাই আমার মতে আমরা প্রকাশ্যে আরেকজনের দোষ খুজে বের না করে, প্রয়োজনে তার সাথে একান্তে কথা বলব। ইসলামও আমাদের সেটাই শিক্ষা দেয়।
বস্তুত আমরা সমালোচনা গ্রহন করতে চাইনা, চাইনা সময় নিয়ে কনসেপ্ট ক্রিয়েট করতে, মুলত আমাদের ধৈর্য্য অনেক কম।
অথচ একজন ডিজাইনের সবচেয়ে বড় দুটো গুনই হলো সমালোচনা গ্রহন করা, এবং ধৈর্য্য ধারণ করা।
আমরা হয়ত কপি করব কিন্তু শুধু শিখতে, বিবেক বেচতে নয়।
সকলের শুভ কামনায় সামিউল আজীম।
No comments:
Post a Comment